ঢাকা,শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বনানীতে অ্যাস্টার ফার্মেসির প্রথম সিগনেচার স্টোর চালু

অ্যাস্টার ফার্মেসির প্রথম সিগনেচার স্টোরটি ঢাকার বনানীতে গণমানুষের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল-হামুদি আউটলেটটি উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য , অ্যাস্টার ফার্মেসি সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান এবং ভারতের নেতৃস্থানীয় ফার্মেসি চেইন এবং বাংলাদেশে ক্ষেত্রে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক ফার্মেসি চেইন, বাংলাদেশে যার পরিচালনায় রয়েছে জিডি অ্যাসিস্ট লিমিটেড। ঢাকার বনানীতে প্রাসাদ ট্রেড সেন্টারে (৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ) অবস্থিত অ্যাস্টার ফার্মেসির ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রীন ডেল্টা এবং অ্যাস্টার ফার্মেসির সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল এবং নন-ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য, বিশেষায়িত ওষুধ, চিকিৎসা ডিভাইস, স্পোর্টস ফার্মেসি কর্নার, পেট কর্নার, শিশু, মা এবং ত্বকের যত্নের জন্য বিশেষ সেক্শনের পণ্যের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিশাল সমাহার নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে অ্যাস্টার ফার্মেসির প্রথম সিগনেচার স্টোরটির। আন্তর্জাতিকমানের সর্বোত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রোগীদের সঠিক পরামর্শের জন্য ফার্মেসিটিতে A-গ্রেডের নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং টিকা ও টিকাদানের জন্য প্যারামেডিকসও রয়েছে।

জিডি অ্যাসিস্ট লিমিটেড বাংলাদেশে অ্যাস্টার ফার্মেসি চালু করতে জিসিসি এবং ভারতের বৃহত্তম সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী অ্যাস্টার ডিএম হেলথকেয়ারের সাথে একটি দীর্ঘমেয়াদি ফ্র্যাঞ্চাইজ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সংক্ষেপে বলা যায়, বনানী-ঢাকায় চালু হওয়া অ্যাস্টার ফার্মেসির এই সিগনেচার স্টোরের মাধ্যমে প্রকৃত এবং নির্ভরযোগ্য ফার্মাসিউটিক্যাল এবং নন-ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের পাশাপাশি উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা এবং কাউন্সেলিং বাংলাদেশে জিডি অ্যাসিস্ট এবং অ্যাস্টার ডিএম হেলথকেয়ারের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা মেটাতে ঔষধের পাশাপাশি পুষ্টি, শিশুর যত্ন, ত্বকের যত্ন, বাড়ির স্বাস্থ্যসেবা, পোষা প্রাণীর যত্ন, খেলাধুলার পরিপূরক ইত্যাদি পণ্যও রয়েছে অ্যাস্টার ফার্মেসির বিশাল পসরায়।

অ্যাস্টার ডিএম হেলথকেয়ার বর্তমানে ভারত, GCC এবং জর্ডানে ৫২১টি ফার্মেসি পরিচালনা করছে এবং গত আর্থিক বছরে ৯.৮ মিলিয়ন ফার্মেসি ভিজিট রেকর্ড করেছে। বাড়ির পাশেই সহজলভ্য অ্যাক্সেস এবং গ্রাহককেন্দ্রিক পদ্ধতির কারণে ফার্মেসীগুলির মধ্যে পছন্দের ব্র্যান্ড হিসাবে আজ অ্যাস্টার ফার্মেসি একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বাংলাদেশের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী ৩ বছরের মধ্যে ঢাকায় ২৫টি স্টোর খোলা ও পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে জিডি অ্যাসিস্ট।

এই উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে অ্যাস্টার ডিএম হেলথকেয়ারের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলিশা মুপেন বলেন, “তিন দশক আগে শুরু হওয়ার পর থেকে, অ্যাস্টার ফার্মেসি ওষুধ এবং স্বাস্থ্যসেবা পণ্যের জন্য একটি ওয়ান স্টপ সল্যুশন প্রদানকারী হিসেবে কাজ করে আসছে। আমরা আমাদের বিবিধ পণ্যের নানা অফারের সাথে সাথে গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা পরিকাঠামো এবং কর্মদক্ষ লোকবলে বিনিয়োগ করেছি এবং রোগীর নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করতে মহামারী চলাকালীন সময়েও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এবং এখন, আমরা আরও লোকেদের বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে এবং আমাদের পদচিহ্ন প্রসারিত করতে বাংলাদেশের মতো একটি সম্ভাবনাময় মার্কেটে সক্রিয় হতে চাইছি।”

জিডি অ্যাসিস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমেদ বলেন, “২০১৪ সালে জিডি অ্যাসিস্ট যাত্রা শুরু করেছিল একটি ওয়ান-স্টপ হেলথ কেয়ার সলিউশন প্রদানকারী হওয়ার আকাঙ্খা নিয়ে। তার ধারাবাহিকতায়, অ্যাস্টার ফার্মেসির বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে আরা আনন্দিত ও গর্বিত! এই অংশীদারিত্ব আমাদেরকে বিভিন্ন বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা পণ্যসামগ্রী প্রবর্তনের মাধ্যমে নতুন যুগে পা রাখতে সক্ষম করে তুলছে, যা বাংলাদেশের জনগণকে দৈনন্দিন স্বাস্থ্যসেবায় আন্তর্জাতিক মানের সেবার সাথে পরিচিত করার সুযোগ করে দেবে।”

অ্যাস্টার রিটেইল-এর সিইও এন এস বালাসুব্রমানিয়ান বলেন, “তিন দশকের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বের বিভিন্ন মার্কেটে আমাদের নেতৃস্থানীয় অবস্থানের ফলশ্রুতিতে সমন্বিত ফার্মেসি ধারণার অগ্রদূত হিসেবে অ্যাস্টার ফার্মেসি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে । বাংলাদেশে অ্যাস্টার ফার্মেসি স্টোর চালু করার ক্ষেত্রে জিডি অ্যাসিস্টকে সঙ্গী করতে পেরে আমরা আনন্দিত, কারণ এটি গ্রাহকদের খুব অনন্য এবং উচ্চতর স্বাস্থ্যসেবার অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।”

জিডি অ্যাসিস্টের ডিরেক্টর, ফারজানা বলেন, “জিডি অ্যাসিস্ট-এ আমরা বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশী ফার্মেসি শিল্পে নতুন মান স্থাপনের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যার কারণেই বাংলাদেশের অ্যাস্টার ফার্মেসির অপারেশনাল পার্টনার হিসেবে এই অংশীদারিত্বের উদ্যোগ নেওয়া। যেসব মূল্যবোধকে ভিত্তি করে অ্যাস্টার ফার্মেসি গড়ে উঠেছে, সেগুলোর সুনিপুণ বাসবায়নের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল ও নন-ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের বিশাল প্রোডাক্ট লাইনের মাধ্যমে আমরা আগামী বছরগুলিতে এই শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবো বলে আশা রাখি।”

গ্রাহককেন্দ্রিক এবং সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য বন্ধুপ্রবণ ফার্মেসি ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্যে করার লক্ষ্যে অ্যাস্টার ফার্মেসি ১৯৮৯ সালে শুধুমাত্র একটি ফার্মেসি দিয়ে এই যাত্রা শুরু করেছিল। আজ তিন দশক পর গ্লোবাল স্কেলে বিবেচনা করলে, অ্যাস্টার ফার্মেসি নিজেকে তার গ্রাহকদের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে, যাতে প্রতিটি এলাকায় একটি অ্যাস্টার ফার্মেসি এবং একজন জ্ঞানী অ্যাস্টার ফার্মাসিস্ট থাকার মিশন পূরণ করতে পারে এবং জিডি অ্যাসিস্ট আগামী বছরগুলিতে এই লক্ষ্য অনুসরণ করে আগামী ৩ বছরে ২৫টি অ্যাস্টার ফার্মেসি ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে চায়।

পাঠকের মতামত: