ঢাকা,সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪

এশিয়ার বাজারে চালের দাম বেড়ে ২ বছরের সর্বোচ্চে

মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে গতিশীল হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে দেশে বাড়ছে চালের চাহিদা। কিন্তু বহুমুখী প্রতিবন্ধকতার কারণে চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভোক্তা দেশগুলোকে। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো বেশি বিপাকে। বৈরী আবহাওয়ায় চালের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাবে এশিয়ার বাজারে অব্যাহত বাড়ছে চালের দাম। চলতি সপ্তাহে এ অঞ্চলের শীর্ষ দেশগুলোয় চালের রফতানি মূল্য বেড়ে দুই বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

চলতি সপ্তাহে ভিয়েতনাম ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৪৯৫-৫০৫ ডলার মূল্যে রফতানি করছে। ২০২১ সালের এপ্রিলের পর এটিই সর্বোচ্চ দাম। গত সপ্তাহে দেশটি এ জাতের প্রতি টন চাল রফতানি করেছিল ৪৯৮ ডলার মূল্যে।

হো চি মিন সিটিভিত্তিক ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ সংকটে ভিয়েতনামের স্থানীয় বাজারে অব্যাহত বাড়ছে চালের দাম। এ কারণে রফতানিকারকরা তাড়াহুড়ো করে চাল রফতানি করছেন। উদ্দেশ্য দাম আরো বাড়ার আগে রফতানি চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ সম্পন্ন করা। বৈরী আবহাওয়ায় গ্রীষ্ম ও শরৎকালীন উৎপাদনও এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়বে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, ভিয়েতনাম জুনের প্রথমার্ধে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৮ টন চাল রফতানি করেছে। বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রফতানি করা হয়েছে ৩৯ লাখ টন। বার্ষিক চাল রফতানি লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিয়েতনাম। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি রফতানির পরিমাণ ৪০ লাখ টনে নামিয়ে আনবে, যা বর্তমান সময়ের তুলনায় অন্তত ৪৪ শতাংশ কম। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে দেশটির সরকার তথ্যটি নিশ্চিত করে।

ভিয়েতনাম বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক। ভারত ও থাইল্যান্ডের পরই দেশটির অবস্থান। গত বছরও দেশটি ৭১ লাখ টন চাল রফতানি করেছে। তবে আগামী বছরগুলোয় রফতানি এর চেয়ে অনেক কমিয়ে আনা হবে। উদ্দেশ্য স্থানীয় খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি উচ্চমানসম্পন্ন চাল রফতানি বাড়ানো।

এদিকে থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চাল ৫০৫ ডলারে রফতানি করছে। দেশটির চালের দামও দুই বছরের সর্বোচ্চে। গত সপ্তাহে রফতানি করা হয়েছিল ৪৯৫ ডলারে।

পাঠকের মতামত: