ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদন কমেছে ১ শতাংশ

চলতি বছরের জানুয়ারিতে অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে গত মাসে উৎপাদন আবারো কমেছে। শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরান ছাড়া বাকি সব দেশের উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী।

অর্থনৈতিক সংকট, ব্যাংক খাতে টালমাটাল পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নানা প্রতিবন্ধকতায় উৎপাদন কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় বেশির ভাগ দেশেই স্ক্যাপ ইয়ার্ডগুলোয় সরবরাহ পরিস্থিতি দুর্বল। ফলে গত মাসে স্ক্র্যাপের দাম অনেক বেড়েছে। চলতি মাসেও দাম ঊর্ধ্বমুখী।

ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত মাসে বিশ্বজুড়ে ১৪ কোটি ২৪ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১ শতাংশ কমেছে। বছরের প্রথম দুই মাসে বৈশ্বিক উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি ৭৮ লাখ টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা দশমিক ৮ শতাংশ কম।

বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ও ব্যবহারকারী দেশ চীন। মহমারি করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে দ্রুত প্রসার ঘটছে। ফলে অবকাঠামো ও শিল্প খাতে ইস্পাতের চাহিদা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমও গতিশীল হয়েছে। গত মাসে দেশটিতে ৮ কোটি ১ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। বছরের প্রথম দুই মাসে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টন।

এদিকে ভারতে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো ইস্পাত উৎপাদন কমেছে। গত মাসে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি টন, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১ শতাংশ কম। অন্যদিকে বছরের প্রথম দুই মাসে দেশটিতে ২ কোটি ১৩ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায়ও উৎপাদন প্রান্তিকভাবে কমেছে। চীনে ২০২২ সালে ইস্পাত উৎপাদন ২ দশমিক ১ শতাংশ কমলেও এ বছরের জানুয়ারি থেকে উৎপাদন বাড়ছে।

জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনও ছিল নিম্নমুখী। দুই দেশেই উৎপাদন ৫ দশমিক ৩ শতাংশ কমে কমেছে। জাপানে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬৯ লাখ টন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ লাখ টন।

রাশিয়ার উৎপাদন ৮ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬ লাখ টন। জার্মানিতে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩০ লাখ টনে নেমেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় উৎপাদন ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫২ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।

ব্রাজিলের উৎপাদন ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ২৫ লাখ টনে নেমেছে। ইরানে উৎপাদন ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। গত মাসে ২৪ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।

বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কের উৎপাদনে বড় পতন দেখা দিয়েছে। গত মাসে দেশটি ২১ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম।

পাঠকের মতামত: