ঢাকা,শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

হিলিতে অর্ধেকে নেমেছে জিরা আমদানি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে অর্ধেকে নেমেছে জিরা আমদানি। ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে না পারায় আমদানিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া দাম বাড়ার কারণেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

জিরা আমদানি কমার ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের আয়ও কমেছে। আয় কমায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে কর্মরত শ্রমিকরা। তবে চলতি মাসে বন্দর দিয়ে জিরা আমদানির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে প্রতি টন জিরা ১ হাজার ৮৫০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ১২১টি ট্রাকে ৩ হাজার ৩০৫ টন জিরা আমদানি হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে তা কিছুটা কমে ১১৩টি ট্রাকে ৩ হাজার ৯৭ টন হয়েছিল। মার্চ মাসে আমদানি খানিকটা কমে ৭২টি ট্রাকে ১ হাজার ৯৬৫ টন হয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমদানি তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। এ সময় মাত্র ৩৯টি ট্রাকে ১ হাজার ৫৭ টন জিরা আমদানি হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি ট্রাকে ১ হাজার ২৩৭ টন জিরা আমদানি হয়েছে। তবে চলতি মাসে জিরার আমদানি কিছুটা বাড়ায় আগের তুলনায় দামও খানিকটা কমেছে। বন্দরে প্রতি কেজি জিরা ৫৫০ টাকা থেকে ৫৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে যার মূল্য ছিল ৬৭০ থেকে ৭০০ টাকা।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্দর দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও ভারত থেকে জিরা আমদানির পরিমাণ কমেছে। বিশেষ করে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্ধেক জিরা আমদানি হয়েছে। এতে বন্দরের দৈনন্দিন আয় কমার পাশাপাশি কর্মরত শ্রমিকদের আয়ও কমেছে। বর্তমানে গত দুই মাসের তুলনায় বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কিছুটা বাড়লেও আগের অবস্থানে ফেরেনি। বন্দর দিয়ে চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত ১৬ কর্মদিবসে ৯৯টি ট্রাকে ২ হাজার ৬৯০ টন জিরা আমদানি হয়েছে।’

পাঠকের মতামত: