ঢাকা,রোববার, ১২ মে ২০২৪

পাম অয়েলের মজুদ কমেছে মালয়েশিয়ায়

Dua pekerja menata kelapa sawit di atas truk di perkebunan kelapa sawit, Mesuji Raya, OKI, Sumatera Selatan, Selasa (9/2). Asosiasi Petani Kelapa Sawit Indonesia (Apkasindo) keberatan dengan pemerintah Perancis atas pengenaan pajak regresif terhadap produk Crude Palm Oil (CPO) Indonesia, yang dianggap sangat memberatkan petani. ANTARA FOTO/ Budi Candra Setya/ama/16.

গত ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ার মোট পাম তেলের মজুদ ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে ২১ লাখ ১০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। আগের মাসে সেখানে মজুদের পরিমাণ ২২ লাখ ৬০ হাজার টন ছিল। মালয়েশিয়ান  বোর্ড (এমপিওবি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর দি স্টার।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে এমপিওবি জানায়, অপরিশোধিত পাম অয়েলের মজুদ ফেব্রুয়ারিতে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে। এ মাসে পরিমাণ ১১ লাখ ৬০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা গত জানুয়ারিতে ছিল ১২ লাখ ৫০ হাজার টন। অন্যদিকে পরিশোধিত পাম তেলের মজুদও ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫১ টনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ১০ লাখ ১০ হাজার টন।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে অপরিশোধিত পাম অয়েলের উৎপাদন ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে ১২ লাখ ৫০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ হাজার টন। এ সময় পাম কারনেল অয়েলের উৎপাদন ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৬৯ টন থেকে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ কমে গেছে। তারপর তা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৯৬ টনে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, পাম অয়েলের রফতানিও ফেব্রুয়ারিতে কমেছে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। জানুয়ারিতে যেখানে এর পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৩০ হাজার টন, ফেব্রুয়ারিতে তা নেমে আসে ১১ লাখ ১০ হাজার টনে। এ সময় ওলিও-কেমিক্যালসের রফতানি বেড়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগে যা ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৬ টন, এখন রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৮ টনে।

সংস্থাটি বলছে, পাম কারনেল অয়েলের রফতানি ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমে ফেব্রুয়ারিতে ৫৯ হাজার ৮৮৮ টন হয়েছে, যা তার আগের মাসেই ছিল ৬২ হাজার ১০২ টন। এর আগে জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় পাম অয়েল উৎপাদন ও রফতানি দুটোই কমেছিল। ফলে দেশটিকে বিদ্যমান মজুদ থেকেই চাহিদা পূরণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হয়েছে। এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে আসে। সমীক্ষায় অংশ নেয় ১১টি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রাপ্ত তথ্যমতে, জানুয়ারিতে পাম অয়েলের মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৮০ হাজার টন, যা ডিসেম্বরের চেয়ে দশমিক ৬৬ শতাংশ কম।

বর্তমানে মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। মৌসুমি ঝড় ও বন্যায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দেশটির পাম অয়েল উৎপাদকরা। বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে জানুয়ারিতে দেশটিতে পাম অয়েল উৎপাদন ১৪ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। মাসভিত্তিক উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টনে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এনজে

পাঠকের মতামত: