ঢাকা,শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ইস্পাতের বাজারকে নিম্নমুখী চাপে ফেলেছে। শিল্প উৎপাদন থেকে শুরু করে অবকাঠামো নির্মাণ—সব খাতেই পরিলক্ষিত হচ্ছে ধীরগতি। এ কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না শিল্প ধাতুটির ব্যবহার। নিম্নমুখী চাহিদার প্রভাবে প্রতি মাসেই কমছে বৈশ্বিক উৎপাদন। সর্বশেষ নভেম্বরে ধাতুটির বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে উৎপাদন কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশন (ওয়ার্ল্ড স্টিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতি মাসেই অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি। ৬৪ দেশের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৮৫ শতাংশই আসে এসব দেশ থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৯১ লাখ টনে। ১১ মাসে উৎপাদন হয়েছে ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টন।

বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক ও ব্যবহারকারী দেশ চীন। চলতি বছর কয়েক ধাপে দেশটিতে রেকর্ড মাত্রায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে দেশটিকে। এতে প্রায় বছরজুড়েই চীনে ইস্পাতের চাহিদা ছিল তলানিতে। বিষয়টিকে বৈশ্বিক উৎপাদন কমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হচ্ছে। জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। তবে নভেম্বরে দেশটিতে উৎপাদন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৭ কোটি ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।

বছরের ১১ মাসে ভারত ও ইরান ছাড়া বাকি সব শীর্ষ দেশেই উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী। এর মধ্যে জাপানে উৎপাদন ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দশমিক ৫, রাশিয়ায় ৭, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬ দশমিক ১, জার্মানিতে ৭ দশমিক ৯, তুরস্কে ১২ দশমিক ৩ ও ব্রাজিলে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে।

এদিকে জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে উৎপাদন ৬ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ টনে। ইরানে ধাতুটির উৎপাদন ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৭৯ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে।

এনজে

পাঠকের মতামত: