ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

হিলিতে টনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা কমেছে পাথরের দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে নতুন করে এলসি খুলতে না পারায় পাথরের আমদানি অনেকটা কমে গেছে। আমদানি কমলেও দেশে পাথরের চাহিদা কমায় ক্রেতা সংকটে পাথরের বেচাকেনা কমে গেছে। টনপ্রতি ৪০০-৫০০ টাকা দাম কমিয়েও পাথর বিক্রি করতে পারছেন না আমদানিকারকরা, এতে লোকশানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।

হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায় বন্দরে প্রচুর পরিমাণে আগের আমদানীকৃত পাথর স্তূপ আকারে পড়ে রয়েছে। কিন্তু পাথরের তেমন ক্রেতা বা বেচাকেনা লক্ষ করা যায়নি। এতে পাথরের দাম আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। আগে ৫/৮ আকারের পাথর ৪ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা টন বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। ৩/৪ আকারের পাথর ৪ হাজার ৩০০ টাকা টন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ২০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছিল। ১/২ আকারের পাথর আগে ৩ হাজার ৮০০ টাকা টন বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ১/৪ আকারের পাথর আগে ৪ হাজার টাকা টন বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, কিছুদিন আগেও বন্দর দিয়ে পাথরের আমদানি স্বাভাবিক ছিল। আমদানিকারকরা ব্যাপক পরিমাণে পাথরের এলসি খুলেছিল। কিন্তু হঠাৎ ব্যাংকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ছাড়া পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করছিল। পাথর যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পড়ে না, এটা বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন ফার্মের কাজে ব্যবহার হয়, যা পরে হলেও চলবে। ফলে ব্যাংকগুলো পাথরের এলসি খুলতে বা দিতে নিরুৎসাহিত করেছিল। পুরনো যেসব পাথরের এলসি ছিল, শুধু সেসব পাথর দেশে আমদানি হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দেশে পাথর আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পাথরের আমদানি আগের তুলনায় একেবারে নিম্ন পর্যায়ে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ৮০-১০০ ট্রাক পাথর আমদানি হতো, বর্তমানে তা কমে মাত্র ১০-১৫ ট্রাকে নেমেছে। মূলত বৈশ্বিক মন্দার কারণেই বন্দর দিয়ে পাথরের আমদানি কমে গেছে। যেহেতু হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব আহরণের প্রধান পণ্য হলো পাথর। আর পাথর আমদানি কমার কারণে সরকারের রাজস্ব যেমন কমেছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় কমে গেছে। বন্দর দিয়ে ১-১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট কর্মদিবসে ১৭০টি ট্রাকে ৯ হাজার ৩১১ টন পাথর আমদানি হয়েছে।

এনজে

পাঠকের মতামত: