ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

বাড়তির দিকে এশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি

গত মাসে এশিয়ার দেশগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন সংকট মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবেই আমদানি বাড়াচ্ছে এ অঞ্চলের দেশগুলো। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা চাহিদা বাড়ায়নি বরং ইউরোপের দেশগুলোয় আসন্ন শীতকে ঘিরে চাহিদা বৃদ্ধির প্রতিফলন হিসেবেই এশিয়ায় আমদানি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রেফিনিটিভ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য বলছে, এশিয়া বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক অঞ্চল। গত মাসে এ অঞ্চলের দেশগুলো সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২ কোটি ৪৯ লাখ ব্যারেল।

চলতি বছরের মধ্যে এটি ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ মাসভিত্তিক আমদানি। এছাড়া মে মাসের পর গত মাসে এ অঞ্চলে সর্বাধিক জ্বালানি তেল আমদানি হয়েছে। মে মাসে যার পরিমাণ ছিল দৈনিক ২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল।

তবে গত মাসে আমদানিতে উল্লম্ফনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, মাত্র দুটি দেশ এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। মোট আমদানিতে দেশ দুটির অবদান ৮৫ শতাংশ। রক্ষণাবেক্ষণ-পরবর্তী সময়ে এসব দেশের পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলোয় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যবহার লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে।

চীন বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক। গত মাসে দেশটি দৈনিক ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল আমদানি করেছে, যা আগস্টের তুলনায় দৈনিক ৬ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বেড়েছে। মে মাসের পর এবারই দেশটি সর্বোচ্চ আমদানি করল।

অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের আমদানি দৈনিক ১৫ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হয়েছে, যা আগস্টের তুলনায় বেড়েছে দৈনিক ৭ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল। এ সময় পরিশোধন প্রক্রিয়াকরণ হার ছিল সক্ষমতার ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

দুই দেশের সম্মিলিত আমদানি বেড়েছে দৈনিক ১৪ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। আর এশিয়ার মোট আমদানি আগস্টের তুলনায় বেড়েছে দৈনিক ১৬ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল। সে হিসেবে আমদানিতে দেশ দুটি অবদান রেখেছে ৮৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বরে অন্যান্য শীর্ষ আমদানিকারক দেশের আমদানি তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল। এর মধ্যে এশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারত দৈনিক ৪১ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল আমদানি করেছে, যা আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে। জাপান আমদানি করেছে দৈনিক ৩১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল, যা আগস্টে ছিল দৈনিক ২৯ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানি দৈনিক ৩০ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল থেকে কমে দৈনিক ২৭ হাজার ব্যারেলে নেমেছে।

এনজে

পাঠকের মতামত: