ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

এশিয়ার চালের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

এশিয়ার চালের বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে চলতি সপ্তাহে।মুদ্রাবাজারে অস্থিরতার কারণে কোথাও বাজার নিম্নমুখী আবার চাহিদার উল্লম্ফনে কোথাও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

ব্যাপক চাহিদা থাকায় এ সপ্তাহে ভিয়েতনামের চালের রফতানি মূল্য বেড়েছে। দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা চাল রফতানি হচ্ছে প্রতি টন ৪২৫-৪৩০ ডলারে। এর আগের সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪২০-৪২৫ ডলার।

এ বিষয়ে হো চি মিন সিটিভিত্তিক এক ব্যবসায়ী জানান, ভিয়েতনামিজ চালের চাহিদা অব্যাহত বাড়ছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফিলিপাইনে চালের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফিলিপাইন ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় চাল ক্রেতা দেশ। ঘাটতি পোষাতে দেশটি ভিয়েতনামের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করবে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশটির স্থানীয় সরবরাহ ধীরে ধীরে কমছে। কারণ গ্রীষ্ম ও শরত্কালীন ফসল উত্তোলন শেষ হয়ে আসছে। এ কারণে আগামী সপ্তাহগুলোয় রফতানি মূল্য আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েকটি চাল উৎপাদনশীল দেশে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ভয়াবহ বন্যার কারণে পাকিস্তানের উৎপাদন তলানিতে। অন্যদিকে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চীনও। এ কারণে আগামীতে সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ। সম্প্রতি দেশটির মুদ্রা রুপির দাম কমে রেকর্ড সর্বনিম্নে নেমেছে। এটি বাজারকে নিম্নমুখী চাপে ফেলেছে। এছাড়া দেশটির সরবরাহ পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটেছে। এসব কারণে ভারতীয় চালের রফতানি মূল্য কমেছে।

চলতি সপ্তাহে দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৩৭৪-৩৮২ ডলারে। আগের সপ্তাহে রফতানি মূল্য ছিল টনপ্রতি ৩৭৬-৩৮৪ ডলার।

সম্প্রতি ভারত ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া অন্যান্য চালের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের নতুন রফতানি নীতির কারণে রফতানিকারকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারা ২০ শতাংশ শুল্কে চাল ক্রয় করতে চাচ্ছেন না।

এনজে

পাঠকের মতামত: