ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

টানবাজারে ফের পাউন্ডে ২-১২ টাকা কমেছে সুতার দাম

নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার টানবাজারে সুতার দাম আরেক দফা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব কাউন্টের সুতা দাম কমেছে ২-১২ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজার সুতা তৈরি কাঁচামালের নিম্নমুখী বাজার, গার্মেন্টস সেক্টরে বৈদেশিক ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সুতার বাজারে বেচাকেনায় মন্দা এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।

বাজারে দেখা যায়, ১০ কাউন্টের সুতা বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৪৩-৮৯ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা এক সপ্তাহ আগেও বেচাকেনা হয়েছিল  ৪৫-৯১ টাকা দরে। সে হিসেবে ১০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে পাউন্ডপ্রতি ২ টাকা।

২০ কাউন্টের কোয়ালিটি সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে  প্রকারভেদে ৮৬-৯৭ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ৯১-১০২ টাকা দরে। সে হিসেবে ২০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে পাউন্ডপ্রতি প্রায় ৫ টাকা।

এক্সপোর্ট কোয়ালিটির ২৪, ২৬ ও ৩০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৬-১৬৯ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা বাজারে সাতদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১৫৮-১৭১ টাকা দরে। সে হিসেবে এ কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি কমেছে ২ টাকা। এক্সপোর্ট কোয়ালিটির এ সুতাগুলো গার্মেন্টস সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়।

৪০ কাউন্টের (টানা) সুতা বেচাকেনা হচ্ছে প্রকারভেদে ১৬৫-১৭৮ টাকা দরে। একই সুতা সাতদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১৭০-১৮৫ টাকা দরে। সে হিসেবে ৪০ কাউন্টের সুতার দর কমেছে ৫-৭ টাকা।

৫০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১৭৭-২১২ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা গত সপ্তাহে বেচাকেনা হয়েছিল ১৮২-২১৫ টাকা দরে। সে হিসেবে ৫০ কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি দাম কমেছে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত।

৬০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে পাউন্ডপ্রতি ১৯০-২২৫ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা বাজারে এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ২০০-২৩৫ টাকা দরে। সে হিসেবে ৬০ কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডপ্রতি কমেছে ১০ টাকা।

৮০ কাউন্টের সুতা বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ৩৩৩-৩৪৮ টাকা দরে। একই কাউন্টের সুতা এক সপ্তাহ আগে বেচাকেনা হয়েছিল ৩৪৫-৩৬০ টাকা দরে। সে হিসেবে ৮০ কাউন্টের সুতার দাম কমেছে প্রায় ১২ টাকা।

নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি লিটন সাহা জানান, গত সাতদিনের ব্যবধানে সব কাউন্টের সুতার দাম ২-১২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তিন বছরের কভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এসব বিষয়ের প্রভাব পড়েছে সুতার বাজারেও। এরই মধ্যে বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে বায়ারদের অর্ডার অনেক কমে গিয়েছে। ২৪, ২৬, ২৮ ও ৩০ কাউন্টের সুতার ব্যবহার হয় এ সেক্টরে।

এনজে

পাঠকের মতামত: