ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

এশিয়ায় অব্যাহত কমছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি

এশিয়ায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণ অব্যাহতভাবে কমছে। চলতি মাসেও আমদানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। শীর্ষ আমদানিকারক অঞ্চলটিতে খুচরা বাজারে জ্বালানির দাম চড়া। ঊর্ধ্বমুখী ব্যয় সামাল দিতে ব্যবহার কমাচ্ছে সংশ্লিষ্ট খাতগুলো।

এ বিষয়ে রেফিনিটিভ অয়েল রিসার্চের দেয়া তথ্যমতে, সেপ্টেম্বরে এশিয়ার দেশগুলো দৈনিক ২ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল করে জ্বালানি তেল আমদানি করছে। আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২ কোটি ৪৯ লাখ এবং জুলাইয়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল।

বর্তমানে চীন বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ। এশিয়ায় আমদানি কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে দেশটি। রেফিনিটিভের দেয়া তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বরে দেশটি দৈনিক প্রায় ৯১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করছে। আগস্টে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ৯৫ লাখ ব্যারেল।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের তীব্র সরবরাহ সংকট চলছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বাড়তি থাকার কথা। কিন্তু বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে এশিয়া অঞ্চলে চাহিদা নিম্নমুখী হয়ে পড়ছে।

গতকাল দিনের শুরুতে আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ৭ সেপ্টেম্বর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১০ মাসের সর্বনিম্নে নেমে ব্যারেলপ্রতি ৮৭ ডলার ৪০ সেন্টে স্থির হয়। কিন্তু গতকাল তা এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ ডলার ৫৩ সেন্টে।

রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। ওই মাসে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেল ১২০ ডলারের বেশি দামে লেনদেন হয়েছে। এরপর এশিয়ার বাজারে পণ্যটির চাহিদা কমতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত চাহিদায় পুনরুদ্ধার ঘটেনি।

এনজে

পাঠকের মতামত: