ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

জ্বালানির তেলের দাম সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআইয়ের চিঠি

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) শুল্ক ও কর প্রত্যাহার করে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছে।

ব্যবসায়ী সংগঠনটির পক্ষে গত ১৪ আগস্ট (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো চিঠিটি ইস্যু করা হয়।

বর্তমানে জ্বালানি তেলের ওপর ৩৪ শতাংশ কর (শুল্ক ১০ শতাংশ, মূসক ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ২ শতাংশ) আরোপিত আছে।

এই চিঠিতে বলা হয়, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ধকল সামলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায়। এর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে পড়েছে বিশ্ব। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম ও পরিবহন ভাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উৎপাদন খরচও বাড়ছে। এসব কারণে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ।

‘এসব পরিস্থিতির মধ্যেই জ্বালানি তেলের মূল্য গড়ে ৪৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গণপরিবহন ও কৃষি খাতে ব্যবহৃত ডিজেলের মূল্য ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির হার জাতীয় অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে। উৎপাদন ও ব্যবসা খরচ আরেক দফা বাড়বে, পরিবহনেও বাড়তি খরচ গুনতে হবে।’

এই চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের রপ্তানি খাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার যে আন্তরিক প্রয়াস, সেখানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি শিল্প-বাণিজ্য, সেবা, কৃষিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেবে এর প্রভাব। এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় শুল্ক-কর প্রত্যাহার করে তেলের মূল্য সমন্বয় করার দাবি জানায় এফবিসিসিআই।

এনজে

পাঠকের মতামত: