ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

ভারতের চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার ঘোষণা

ভারত সরকার দেশটি থেকে বাসমতী ব্যতীত অন্যান্য চাল রফতানি নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। গতকাল রফতানি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে তার সময়সীমা বাড়িয়েছে দিল্লি। শনিবার জারি করা নতুন এ আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাসমতী চাল রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য (ফ্লোর প্রাইস) বহাল রাখা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

বর্তমানে ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক। গত ২০ জুলাই নন-বাসমতী সাদা চাল রফতানি নিষিদ্ধ করে দেশটির খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক মাসের মাথায় ২৬ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে আধা সেদ্ধ বাসমতি চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। এ সময় বাসমতী চাল রফতানির সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয়া হয়। প্রতি টন বাসমতীর ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২০০ ডলার।

অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতের অনেক রাজ্যে ধান উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। চাহিদার বিপরীতে চালের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে রফতানিতে বিধিনিষেধের পদক্ষেপ নেয় দেশটি। মূলত নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোয় প্রধান খাদ্যপণ্যটির উচ্চমূল্য ঠেকানো নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেয়। তাই বিধিনিষেধের মাধ্যমে রফতানি নিরুৎসাহিত করে চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনে ভারত। যদিও এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে শস্যটির দাম ১৫ বছরের সর্বোচ্চে উঠে আসে। সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম টনপ্রতি রেকর্ড ৫২০-৫৪০ ডলার স্পর্শ করে।

শুল্ক আরোপের ফলে ভারত থেকে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। এতে ক্রেতারা বিকল্প উৎস থেকে আমদানি বাড়িয়েছেন। এতে আয়ের মার্জিন হারাচ্ছে ভারতীয় রফতানি প্রতিষ্ঠানগুলো। নয়াদিল্লিভিত্তিক চাল রফতানিকারক রাজেশ পাহাড়িয়া জৈন বলেন, ‘‌গত সেপ্টেম্বরে মাত্র ১০ শতাংশ রফতানি হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৯০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে।’‌ আরেক ব্যবসায়ী ও বাল্ক লজিকসের পরিচালক ভিআর বিদ্যা সাগর বলেন, ‘‌অন্যান্য সময়ের চেয়ে আধা সেদ্ধ চাল রফতানির পরিমাণও ১০ শতাংশ কমেছে।’

পরিস্থিতি বিবেচনায় অক্টোবরের শুরুর দিকে ভারতের খাদ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীয়ুষ গয়াল এমইপি ৮৫০ ডলারে নামিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত টনপ্রতি আগের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ১ হাজার ২০০ ডলারই বহাল রেখেছে দেশটি।

পাঠকের মতামত: