ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪

৯০ ডলারে নেমেছে জ্বালানি তেলের মূল্য

৯০ ডলারে নেমেছে বৈশ্বিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ডলারের বিনিময় মূল্য ও মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বাড়ার প্রভাবে দাম কমেছে জ্বালানিটির। খবর রয়টার্স।

আইসিই ফিউচারসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম মঙ্গলবার ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে ব্যারেলপ্রতি দাম নেমেছে ৯০ ডলার ১৫ সেন্টে। অন্যদিকে, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৭৮ সেন্ট বা দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে ৮৮ ডলার শূন্য ৪ সেন্টে দাঁড়িয়েছে।

বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এএনজেডের বিশ্লেষকরা এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘‌বাজারে সরবরাহ ঘাটতি সত্ত্বেও বেন্টের দাম ৯০ ডলারের নিচে নেমেছে। মূলত ডলার শক্তিশালী হওয়ায় এবং ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বাড়ায় জ্বালানি তেলের বাজার নিম্নমুখী। উচ্চ সুদহারের কারণে তেলের মজুদ খরচ বেড়েছে। এ কারণে কোম্পানিগুলো বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে মজুদ খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। বিষয়টিও দাম কমার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।’

যুক্তরাষ্ট্র আংশিক শাটডাউন এড়ানোর পর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক লম্বা সময়ের জন্য উচ্চ সুদহার বহাল রাখার পথে হাঁটছে। বেশি সময় উচ্চ সুদহার বহাল রাখলে অর্থনীতি মন্দায় পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদদের এমন আশঙ্কা সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার ঘরে আনতে সিদ্ধান্ত নেয় ফেড। ফলে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার গত সোমবার ১০ মাসের সর্বোচ্চে ওঠে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারে জ্বালানি তেল কেনাবেচা হয়। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভিন্ন মুদ্রার গ্রাহকের জন্য জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় বেড়েছে। খরচ কমাতে ক্রেতারা ক্রয় কমিয়ে দেয়ায় চাহিদা কমে নিম্নমুখী প্রবণতায় পড়েছে পণ্যটির দর। এদিকে উচ্চ সুদহারের কারণে মার্কিন বন্ডের চাহিদা বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা বেশি পরিমাণে ডলার কিনতে শুরু করেছেন। ফলে ডলারের দর ১০ মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে।

তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী চলতি সপ্তাহে ইরাক থেকে আসা জ্বালানি তেলের পাইপলাইন পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। উচ্চমূল্যের কারণে ছয় মাস ধরে পাইপলাইনটি দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ ছিল।

বিএমআই রিসার্চের বিশ্লেষকরা এক রিপোর্টে বলেছেন, ‘ওপেক প্লাস জোট চুক্তি অনুযায়ী চতুর্থ প্রান্তিকেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কার্যক্রম সীমিত রাখবে।

তবে ইরাক উত্তোলন বাড়িয়ে যাওয়ায় পুনরায় পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ সচল করবে। এতে দেশটির রফতানির হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

এনজে

পাঠকের মতামত: