ঢাকা,রোববার, ২১ জুলাই ২০২৪

ব্যারেলে ১ ডলারের বেশি কমেছে জ্বাল‍ানি তেলের দাম

বিশ্ববাজারে বুধবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১ ডলারেরও বেশি কমেছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বাজার নিম্নমুখী হয়ে ওঠে। সুদহার কী হারে বাড়ানো হবে এবং তা জ্বালানি চাহিদায় কতটুকু প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। খবর রয়টার্স।

আইসিই ফিউচারসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১ ডলার ৪৬ সেন্ট বা ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৯২ ডলার ৮৮ সেন্টে।

অন্যদিকে, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ১ ডলার ৩০ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৯ ডলার ৯০ সেন্টে।

ওপেক প্লাস লম্বা সময় ধরেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন কমাচ্ছে। সম্প্রতি জোটটি চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এমনটা মনে করছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। চলতি ও আগামী বছর পণ্যটির চাহিদা অব্যাহত বাড়বে বলেও মনে করছে সংস্থাটি।

জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক। এর সঙ্গে নন-ওপেক কিছু দেশের জোটকে বলা হয় ওপেক প্লাস। জোটটি ২০২২ সাল থেকেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে উত্তোলন কমাতে শুরু করে। ওপেক প্লাসের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য সৌদি আরব ও রাশিয়া। জোটের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন কমানোর পাশাপাশি এককভাবেও দেশ দুটি উত্তোলন কমাচ্ছে। আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত উভয় দেশ দিনে ১৩ লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন কমাবে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে চলতি মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯০ ডলারে উঠে এসেছে, যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ওপেক প্লাসের সদস্যদেশগুলোর দৈনিক অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন ২৫ লাখ ব্যারেল করে কমেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলসহ জোটের বাইরের দেশগুলোর উত্তোলন ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা ইরানের উত্তোলনও বাড়ছে। ফলে বৈশ্বিক সরবরাহে কিছুটা ভারসাম্য তৈরি হচ্ছে।

কিন্তু ওপেক প্লাস উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় সেপ্টেম্বর থেকে সামনের মাসগুলোয় বৈশ্বিক সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা।

আইইএ বলছে, ওপেক প্লাসে উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলে আগামী বছরের শুরুতে সরবরাহে উদ্বৃত্ত তৈরি হতে পারে। তবে জ্বালানিটির মজুদ আশঙ্কাজনক হারে নিম্নমুখী হয়ে উঠবে, যা বাজারকে ফের অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেবে।

পাঠকের মতামত: