ঢাকা,সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

৪৩ শতাংশ বেড়েছে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি

Dua pekerja menata kelapa sawit di atas truk di perkebunan kelapa sawit, Mesuji Raya, OKI, Sumatera Selatan, Selasa (9/2). Asosiasi Petani Kelapa Sawit Indonesia (Apkasindo) keberatan dengan pemerintah Perancis atas pengenaan pajak regresif terhadap produk Crude Palm Oil (CPO) Indonesia, yang dianggap sangat memberatkan petani. ANTARA FOTO/ Budi Candra Setya/ama/16.

জুনে ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টনে। ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে।

দেশটিতে ওই সময় এক মাসের ব্যবধানে অপরিশোধিত পাম অয়েল উৎপাদন ১২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৪০ লাখ ৩০ হাজার টনে নেমেছে। জুনের শেষ দিকে পণ্যটির মজুদ মে মাসের ৪৬ লাখ ৭০ হাজার টনের চেয়ে কমে ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টনে নেমেছে।

বর্তমানে বিশ্বের ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক ও রফতানিকারক। দেশটি চীনের বাজারে সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল রফতানি করে। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশটির রফতানি কিছুটা কমে গিয়েছিল। বর্তমানে রফতানি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আগামী বছর চীন ইন্দোনেশিয়া থেকে ৮০ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে পাম অয়েল উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ফিচ সলিউশনের বিএমআই ইউনিট সম্প্রতি এ সম্ভাবনার কথা জানায়। তবে এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে।

আাগামী নভেম্বরে পাম অয়েলের ২০২৩-২৪ উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী বছরের অক্টোবরে। এ সময় পাম অয়েলের বৈশ্বিক উৎপাদন চলতি বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়তে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে আট কোটি টনে।

অন্যদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মৌসুমে পাম অয়েলের বৈশ্বিক উৎপাদন ২ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার টনে। চলতি বছর উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার টনে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ডিসেম্বরের দিকে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মালয়েশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক। দেশটিতে উৎপাদনের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সময় আগস্ট। কিন্তু এ সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও পানি সংকটে উৎপাদন ঝুঁকির মুখে। দেশটির সাবাহ ও সারাওয়াহ প্রদেশে এরই মধ্যে উৎপাদন কমে গেছে।

বিএমআই জানায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে পাম অয়েলের বৈশ্বিক ব্যবহার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে। ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ কোটি ৮৯ লাখ টনে। ইউএসডিএ জানায়, ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার টনে, চলতি মৌসুমে যা ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টনে পৌঁছতে পারে।

এশিয়ায় উদ্ভিজ্জ তেলের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা পাম অয়েল। এ অঞ্চলের মধ্যে ভারত সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল আমদানি করে। জুলাইয়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টন। বর্তমানেও দেশটি বেশ ভালো পরিমাণে আমদানি করছে। এশিয়ায় বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে পাম অয়েলের চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া আবহাওয়া পরিস্থিতিও চাহিদা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।

ইউএসডিএ বলছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টনে। চলতি মৌসুমে মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টনে। আগামী দিনগুলোয় পণ্যটির বাজারদর কোন দিকে যাবে তা ইঙ্গিত করছে এ মজুদ পরিস্থিতি। মজুদ যেহেতু কমতির দিকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিএমআই জানায়, চলতি মৌসুম শেষে ১১ লাখ টন পাম অয়েলের বৈশ্বিক উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। আগামী মৌসুমে বাজারে ভারসাম্য বজায় থাকবে।

এনজে

পাঠকের মতামত: