ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

ভারতের কফি রফতানি আয় বেড়েছে ৬ শতাংশ

ভারতের চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কফি রফতানি আয় ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটি ৪৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলারের কফি রফতানি করে। মূলত রাশিয়া ও তুরস্কের মতো দেশগুলো থেকে ইনস্ট্যান্ট কফির ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ও আকর্ষণীয় দাম রফতানি বাড়াতে সহায়তা করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে এ চার মাসে ইউরোপে ভারতীয় গ্রিন কফি রফতানির পরিমাণ কমেছে। খবর দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলন অনুযায়ী, জুলা‌ইতেই ভারত ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারের কফি রফতানি করে। গত বছরের একই সময় রফতানি করা হয়েছিল ৯ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার। সে হিসাবে রফতানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ। রুপির ভিত্তিতে রফতানি বেড়েছে ১২ শতাংশ।

এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটির কফি বোর্ড ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৬ টন কফি রফতানির অনুমোদন দেয়। গত বছরের একই সময় অনুমোদন দেয়া হয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ টনে। সে হিসেবে অনুমোদন দেয়ার পরিমাণ ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। ইনস্ট্যান্ট ও অ্যারাবিকা ছাড়া অন্য সব ধরনের কফি রফতানির অনুমোদন কমেছে।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কফি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছে পানীয় পণ্যটির দাম। বর্তমানে কফির বৈশ্বিক দাম কয়েক বছরের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর বাড়তি দামের এ সুবিধা নিয়েছে ভারতের রফতানিকারকরা।

চার মাসে ভারতের ইনস্ট্যান্ট কফি রফতানির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেড়েছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৬৭৫ টন।

বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম শীর্ষ কফি উৎপাদনকারী দেশ ভারত। ২০১১-১২ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত দেশটির বার্ষিক কফির রফতানি হার কমেছে ৩ শতাংশ। ২০১১-১২ মৌসুমে ভারত সব মিলিয়ে ৯৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের কফি রফতানি করেছিল।

রফতানির এমন নিম্নমুখী ধারাকে আরো ত্বরান্বিত করেছে করোনা মহামারী। মহামারীর প্রভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছর ভারতের কফি রফতানি নয় বছরের সর্বনিম্নে নেমে যায়। গত বছরের এপ্রিলে রফতানি সর্বোচ্চ ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

ভারতে সবচেয়ে বেশি কফি উৎপাদিত হয় কর্ণাটক রাজ্যে। দেশটির মোট রফতানির বেশির ভাগই আসে এ রাজ্য থেকে। অন্যদিকে দেশের মোট তৈরি কফির ৫০ শতাংশই আসে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। ভারতের প্রধান কফি রফতানি বাজার ইতালি। গত অর্থবছর রফতানীকৃত কফির ২০ শতাংশই ইতালিতে রফতানি হয়েছে।

এনজে

পাঠকের মতামত: