ঢাকা,বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

চীনে ১.১ শতাংশ বেড়েছে ইস্পাত উৎপাদন

চীনে জুনে অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন বেড়েছে। দেশটির কারখানাগুলোয় গত মে মাসের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ এবং গত বছরের জুনের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ বেশি উৎপাদন হয়েছে। ইস্পাতের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ওই মাসে কারখানাগুলো উৎপাদন বাড়ায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জুলাইয়েও উৎপাদন বাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো সম্প্রতি এ তথ্য জানায়। খবর রয়টার্স।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের দেয়া সর্বশেষ তথ্য বলছে, জুনে চীন ৯ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করে। মে মাসে উৎপাদন হয়েছিল ৯ কোটি ১ লাখ ২০ হাজার টন। এছাড়া গত বছরের জুনে উৎপাদন হয় ৯ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার টন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জুনে চীন প্রতিদিন ৩০ লাখ ৪০ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন করে। মে মাসে দৈনিক উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ১০ হাজার টন। এছাড়া ২০২২ সালের জুনে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ২০ হাজার টন।

আন্তর্জাতিক ব্রোকারেজ ফার্ম এফআইএসের সাংহাইভিত্তিক জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক পেই হাও বলেন, ‘‌ব্লাস্ট ফার্নেসভিত্তিক ইস্পাত উৎপাদক ও আর্ক ফার্নেসভিত্তিক ইস্পাত কারখানাগুলোয় উৎপাদন লক্ষণীয় মাত্রায় বেড়েছে। এর আশানুরূপ মুনাফা মার্জিনও এসেছে, যা জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।’

বাজার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২৪৭টি ইস্পাত উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের ওপর জরিপ চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, জুনে ফার্নেস সক্ষমতা ব্যবহারের হার বেড়ে ৯২ দশমিক ১১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মে মাসের শেষ দিকে যা ছিল ৮৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অন্যদিকে ৩৪টি ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস ইস্পাত কারখানায় সক্ষমতা ব্যবহারের হার বেড়ে ৪২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। মে মাসের শেষ দিকে যা ছিল ৩৭ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) চীন ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার টন ইস্পাত উৎপাদন করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।

স্থানীয় বাজারে সরবরাহ সংকুচিত করার প্রয়াসে জুলাইয়ে ইস্পাতের বাজারদর ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে জুলাইয়ে উৎপাদন আরো বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে দৈনিক উৎপাদন ৩০ লাখ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে। মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৯ কোটি ৩০ লাখ টনে।

পাঠকের মতামত: