ঢাকা,সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪

বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা ২৩ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস

আগামী ২০৪৫ সাল নাগাদ সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা ২৩ শতাংশ বাড়বে। জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের সেক্রেটারি জেনারেল হাইথাম আল গাইস গতকাল নাইজেরিয়ান অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কনফারেন্সে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।

ওপেকের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেল খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলে আসছেন। তা সম্ভব না হলে পণ্যটির দাম ফের আকাশচুম্বী হয়ে উঠবে বলে সতর্কও করেছেন তারা।

হাইথাম আল গাইস বলেন, ‘‌বর্তমানে নতুন জ্বালানি তেল প্রকল্পে তহবিল বন্ধ বা সীমিত করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হবে বাস্তবতা বিবর্জিত ও অপরিমাণদর্শী।’ অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন নিঃসরণ রোধে পর্যাপ্ত প্রযুক্তি অপরিহার্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ওপেকের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘‌২০৪৫ সাল নাগাদ প্রাথমিক জ্বালানির চাহিদা ২৩ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ হলো এ সময়ের মধ্যে আমাদের সব ধরনের জ্বালানির প্রয়োজন। ২০৪৫ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জ্বালানি তেল শিল্পে ১ হাজার ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে এ পরিমাণ বিনিয়োগ আসার মতো কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি।’

ওপেক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আগামী বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা নিয়ে জোটটি আশাবাদী। চলতি বছরের তুলনায় চাহিদা প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়লেও তা গড় প্রবৃদ্ধির তুলনায় বেশি থাকবে।

ওপেকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা দৈনিক ২৩ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। আগামী বছর চাহিদা বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে আসতে পারে।

পাঠকের মতামত: