ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

নতুন ব্রোকারদের ব্যবসা সম্প্রসারণে বাধা টিডব্লিএস

পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণের জন্য নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথক (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) আইন অনুযায়ী নতুন ট্রেডিং রাইট টাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) ইস্যু করে বিএসইসি। এই পর্যন্ত ৫৮টি নতুন ট্রেক ইস্যু করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী সবার সমান অধিকার থাকার কথা। কিন্তু নতুন ট্রেকহোল্ডারদের সাথে বিভিন্ন বৈষম্য করা হচ্ছে। ফলে তারা যেই আশা নিয়ে ট্রেক নিয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এর মূল অন্তরায় হিসেবে রয়েছে ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশনের (টিডব্লিউএস)। সম্প্রসারণ করতে পারছে না, তাদের ব্যবসা। তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিএসইসি ও ডিএসইর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছে।

বিদ্যমান বা পুরানো ট্রেক নীতি অনুসারে, এক থেকে ১০টি পর্যন্ত প্রতি ষ্টেশনের জন্য ৫ হাজার টাকা; ১১ থেকে ২০ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা; ২১ থেকে ২৫ টিডব্লিউএসের জন্য প্রতি ষ্টেশনের জন্য ২৫ হাজার টাকা; এবং ২৬টি থেকে এবং এর উপরে প্রতি ষ্টেশনের জন্য ৩০ হাজার টাকা ট্রেকগুলো ডিএসইকে প্রদান করে। তবে নতুন ট্রেকহোল্ডারদের জন্য এটি অনেক বেশি। ফলে তাদের ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া অনেক কঠিন হয়েছে পড়েছে।

এদিকে ডিএসইর নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পরে নতুন ট্রেকহোল্ডাররা আবার বৈঠক করেছে। বৈঠকে তারা পুরনো ট্রেকহোল্ডারদের মতো সুবিধা চেয়েছে। আশ্বাসও দিয়েছে পর্ষদ।

এ বিষয়ে নতুন ট্রেকহোল্ডার সোনালী সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহসান বলেন, আমরা পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য অবদান রাখাতে চাই, কিন্তু পারতেছি না। আমাদের জন্য বড় বাধা হলো টিডব্লিউএস। এর জন্য আমরা নতুন কোন শাখা খুলতে পারি না।

সম্প্রতি নতুন ট্রেক হোল্ডাররা ডিএসই চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবুর সাথে দেখা করেন। এসময় তারা দাবি করেছিল যে নতুন ট্রেক হোল্ডারদের একটি একক ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশনের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা চার্জ প্রদান করতে হয়। এ চার্জ পুরানোদের মতো চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টাকার পরিমান কমানোর দাবি জনান তারা।

বিষয়টি নিয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছে সানবিডি। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। পর্ষদের সাথে আলোচনা করে সমাধাণের চেষ্টা করবো।

নতুন ট্রেক হোল্ডাররা হলেন ফারিহা নিট টেক্স লিমিটেড, এসকিউ ওয়্যার ক্যাবল কোম্পানি, গিবসন সিকিউরিটিজ, কবির সিকিউরিটিজ, মনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটিজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটিজ, থ্রিআই সিকিউরিটিজ, সোনালী সিকিউরিটিজ, কেডিএস শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ, আল হারামাইন সিকিউরিটিজ, মীর সিকিউরিটিজ, টিকে শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, অমায়া সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলাম’ সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ, মাহ. বারাকা সিকিউরিটিজ, এএনসি সিকিউরিটিজ, এসএফআইএল সিকিউরিটিজ, তাসিয়া সিকিউরিটিজ, ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ, সেলেস্টিয়াল সিকিউরিটিজ, ট্রেড এক্স সিকিউরিটিজ, অমর সিকিউরিটিজ, ব্যাং জি জিও টেক্সটাইল, মীনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, অ্যাসোসিয়েটেড ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, বি রিচ, এমকেবি, রহমান কলম্বিয়া সিকিউরিটিজ, স্মার্ট শেয়ার, বেনেময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, সম্রাট সিকিউরিটিজ, এনওয়াই ট্রেডিং, বি এবং বিএসএস ট্রেডিং, অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, সিএএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এসবিআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, উইংস ফিন লিমিটেড, ফারইস্ট শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ট্রাস্ট রিজিওনাল ইক্যুইটি লিমিটেড , ইনোভা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, ম্যাট্রিক্স সিকিউরিটিজ, এবং ডিপি ৭ লিমিটেড।

পাঠকের মতামত: