শীঘ্রই সব কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস থেকে উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগের মাধ্যমে সামনের দিনগুলোতে আপনাদের আরও ভালো করার সুযোগ আছে। আপনারা সবাই মিলে বাজারে সক্রিয় হলে সবাই লাভবান হবেন।
মঙ্গলবার (২৩ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন ব্রোকারেজ হাউস গিবসন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেয়ারবাজারে নতুন অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলো ভালো করছে জানিয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, নতুন ব্রোকারেজ হাউজকে লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
তিনি বলেন, প্রত্যেক সিদ্ধান্তেই একজন রাগ হয়, আরেকজন খুঁশি হয়। সেক্ষেত্রে আমরা বেশির ভাগ মানুষ যেটি চায় অথবা যেটি ভালো হবে আমরা সেটিই করি। ফ্লোর প্রাইস তো আমরাই চাই না। কিন্তু যারা এই প্রাইসকে এখানে নিয়ে আসছে তাদেরকেই (বিনিয়োগকারীদের) ফ্লোর প্রাইস তুলতে হবে। আমরা ফ্লোর প্রাইস উঠাবো না।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ৯৬ কিংবা ১০’র পুনরাবৃত্তি হবে না। ফ্লোর প্রাইস উঠানোর পর কেউ কারসাজি করলে আমরা আবার ফ্লোর প্রাইস দিবো। আপনারা ব্যবসা করেন।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ভালো কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে আনতে। কিন্তু যখন গভর্নেন্স আর কমপ্লায়েন্স করি, কোম্পানিগুলো তখন আসতে চায় না। যে কোম্পানি আসে, তারাও আর পছন্দ করে না।
তিনি বলেন, এফডিআরের চেয়েও বেশি রিটার্ন দিচ্ছে সরকারি বন্ড। আপনারা কেউই কেনাবেচা করছেন না। অথচ সরকারি সিকিউরিটিজ এখন ১১ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিচ্ছে। এজন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সরকারি সিকিউরিটিজ নিয়ে মার্কেটিং করতে হবে।
গিবসন সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আবু নাছের, ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি’ রোজারিও, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান, গিবসন সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা।
পাঠকের মতামত: