ঢাকা,শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রিক্স-বেইজড ক্যাপিটাল এডিকোয়েসি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রিক্স-বেইজড ক্যাপিটাল এডিকোয়েসি এর মূল উদ্দেশ্য হলো রিক্সগুলোকে চিহ্নিত করে কিভাবে ক্যাপিটালকে সুরক্ষা করা যায়। পুঁজিবাজার ভোলাটালই হবার কারণে এটি এখানে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পুঁজিবাজারের এই আইনটি ২০১৯ সালে এনেছে। তুলনামূলকভাবে এই আইনটি আমাদের পুঁজিবাজারে কিছুটা দেরীতে এসেছে। তার অর্থ হলো পুঁজিবাজার ডেভেলাপ করছে। মার্কেট যত ডাইভারসিফাই হবে ততো বেশি লিগ্যাল প্রটেকশন এর প্রয়োজন।

সম্প্রতি ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ২ দিন ব্যাপি “রিক্স-বেইজড ক্যাপিটাল এডিকোয়েসি রিক্যুয়ারমেন্টস ফর দি ক্যাপিটাল ইন্টারমিডিয়ারিজ” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সমাপনী দিনে বিএসইসি’র কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএসইসি’র অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মো: লুতফুল কবির, ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ, ডিএসই’র উপ মহাব্যবস্থাপক ও ট্রেনিং একাডেমির প্রধান সৈয়দ আল-আমিন রহমান।

তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেক ভাগ্যবান এই রুলটি যারা তৈরী করেছে তারাই আপনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করা। অপরাধ সংঘটিত হবার কেউ আইন জানে না বলে শাস্তি এড়ানো যায় না। এ জন্য পুঁজিবাজারের যারা কাজ করে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে অবগত থাাকতে হবে। প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জানানো। ডিএসই’র ট্রেনিং একাডেমি খুবই সময়োপযোগী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। যা পুঁজিবাজারের একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্য আমি ডিএসইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তার আগে ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ বলেন, রিক্স-বেইজড ক্যাপিটাল এডিকোয়েসি কয়েক বছর পূর্বে আমাদের পুঁজিবাজারে এসেছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এই বিষয়ে টেকনোলজি যুক্ত করা হয়েছে। আর এজন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি সফটওয়্যার তৈরী করেছে। ট্রেকহোল্ডারসহ সকল মধ্যস্থতাকারীদেও জন্য এ রুলটি কার্যকর হবে। তাই তাদের এই আইনটি সম্পর্কে  অবগত করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে যাতে রিপোর্টিং-এ সময় কম লাগে এবং দক্ষতার সাথে রিপোর্ট সাবমিট করা যায়। বাজারের সক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য মূলত: এই রুলগুলো তৈরী করা হয়েছে। এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম থেকে আপনারা যে জ্ঞান অর্জন করেছেন তা কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করবেন। একই সাথে আমাদের কোন মতামত থাকলে তা ডিএসইকে জানাবেন।

এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিএসইসি’র পরিচালক মো: আবুল কালাম, অতিরিক্ত পরিচালক শেখ লুতফুল কবির, ডিএসই’র উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম ভূইয়া এবং সহকারী মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ মো: রাকিব।

পাঠকের মতামত: